মেয়েদের পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) সময়মতো না হলে বা অনিয়মিত হলে সেটি একধরনের স্বাস্থ্যগত ইঙ্গিত হতে পারে। নিচে কিছু কারণ ও করণীয় উল্লেখ করা হলো:
🔍 সম্ভাব্য কারণগুলো:
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ হরমোনে প্রভাব ফেলে পিরিয়ড বন্ধ করতে পারে।
ওজন পরিবর্তন
খুব বেশি ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়াও মাসিক বন্ধের কারণ হতে পারে।
হরমোনজনিত সমস্যা
যেমন পিসিওএস (PCOS - Polycystic Ovary Syndrome), থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি।
গর্ভধারণ
যদি কেউ যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয়ে থাকে, এবং পিরিয়ড না হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তখন প্রেগনেন্সি টেস্ট করা দরকার।
ওষুধ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
হরমোনাল কন্ট্রাসেপ্টিভ (পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি) ব্যবহারে মাসিক বন্ধ বা কম হতে পারে।
অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
যেমন অ্যানোরেক্সিয়া, অতিরিক্ত ব্যায়াম, দীর্ঘমেয়াদি রোগ ইত্যাদিও কারণ হতে পারে।
✅ কি করা উচিত:
১–২ সপ্তাহ অপেক্ষা করা
কখনো কখনো দেরিতে পিরিয়ড হওয়াটা স্বাভাবিক, বিশেষত যদি আগে এমন অভিজ্ঞতা না থাকে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট করা
যদি যৌনসম্পর্ক হয়েছে এবং পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তাহলে ঘরেই প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
যদি একাধিক মাস পিরিয়ড না হয়, বা নিয়মিতই সমস্যা হয়, তাহলে গাইনোকলজিস্ট বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা
সুষম খাবার, নিয়মিত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, এবং নিয়মিত ব্যায়াম সহায়ক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন